ঘুড়ি এখন আকাশে নয় উড়ছে বিভিন্ন সোশ্যাল সাইটে
"পেটকাটি,চাঁদিয়াল আকাশে ঘুড়ির পাল..."
ঘুড়ির দেখা আজ আর আকাশে নয়,মেলে Whats app,ফেসবুক নানান সোশ্যাল সাইটে।কম্পিউটার,ট্যাব,স্মার্ট ফোনের যুগে ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের দিকে তাকানোর সময় কোথায়?বরং আজকের জেনারেশন ব্যস্ত হরেক গ্যাজেটে। এখন প্রেম চলে "হাইকে",বা "হ্যাংআউটে"। কথা হয় whats app-এ,ইমোশন শেয়ার ফেসবুকে।এরকম একটা সময়ে লাটাই মান্জা নিয়ে পড়ার সময় থাকলেও তারা ব্যস্ত টাচ ফোনের কীপ্যাডে।তাই এখন বিশ্বকর্মা আসেন whats app,ফেসবুকের নানান স্ট্যাটাসে।সেটা শেয়ার হয় একজন থেকে আর একজনে,লাইক বারে মেলে স্মাইলও,কমেন্টও পড়ে বেশ।কৃত্রিমতা ছাপিয়ে যায় প্রাকৃতিকতাকে।মানুষের উত্সব জীবন জড়িয়ে যায় কৃত্রিমতার বেড়াজালে।কয়েকবছর আগে যেই আকাশের নিচে থেকে ভেসে আসত ভোকাট্টা ধর ধর কাট কাট প্রভৃতি সুর আজ তা কানে না এলেও মেলে চোখে অর্থাৎ দেখা যায় whats app,ফেসবুকের ষ্ট্যাটাসে ঘুড়ি ওড়ানো ক্যামেরাবন্দী ছবির কমেন্টে।কৃত্রিমতা আজ ঢুকে গেছে মানুষের প্রতিটি রন্ধ্রে।একসময় মানুষের সময় কাটত পাড়ার রকে,চায়ের দোকানে,খেলার মাঠে ইত্যাদি জায়গায়।তখন বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম ছিল যাত্রা নাটক,জলসাঘর,কবির লড়াই ইত্যাদি।বাল্যবেলা মেতে উঠত খেলাধূলায়,গায়ে মেখে থাকত ধুলো কাদা,জলে ভেজা,রোদে পোড়া সে যেন এক আলাদা উচ্ছাস।কিন্তু সেসব আজ অতীত।এখন হাতে ঘুড়ি নিয়ে ছবি তোলাতেই যেন লেগে থাকে তার সমস্ত আনন্দ,ভালোলাগা। প্রতিযোগিতায় নামে লাইকের লক্ষ্যে,কমেন্টের আশায়।হয়তো ঘুড়ি ওড়ানোটায় উদ্দিষ্ট ব্যক্তির অজানা।তাতে না আছে উচ্ছাস না আছে তৃপ্তি আর না আছে সেই অননুভূত অনুভুতি।এইসব কৃত্রিমতা সাময়িক সুখ আনলেও প্রকৃতপক্ষে মানুষকে সরিয়ে দেয় প্রাকৃতিকতা থেকে।প্রাকৃতিক ভাবালাপ বজায় থাকলেও কমিয়ে দেয় আন্তরিক সৌহার্দ্যতা।লঘু করে মানসিক প্রসারের ব্যাপ্তি,কেড়ে নেয় বুধ্বি বৃত্তির বিকাশ।জানিনা আগামী প্রজন্ম এই কৃত্রিমতার বেড়াজাল ছেড়ে প্রাকৃতিকতার খোলা আকাশে উড়তে পারবে কিনা?নাকি রয়েই যাবে এই চারদেওয়ালের বেড়াজালে?
By-REJMAN KHAN
By-REJMAN KHAN
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন