শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

নিসঙ্গতা


‘সাবধান এ থাকিস আজ রাত টা আর পড়াশো্না টা কর ঠিক মতো’ বাবার সাথে কথা বলে ফোন টা রাখার পর দেওয়ালের একপাশে টাঙানো ঘড়িটা ঢং ঢং করে জানান দিলো সময় এখন পাক্কা দশটা।                           এত বড় ঘরে নিস্তব্ধতা যেন ক্রমশ সময়ের সাথে ছন্দ মিলিয়ে আমার অস্বস্তি বাড়াছিল।বিশাল কামরাটার শূণ্যতা যেন ক্রমশ আমাকে গ্রাস করছে।কামরাটা আজ বড্ড খালি।দেবীদি গেছে তার বাড়ী বাবার অসুস্থতার খবর পেয়ে,আর পিয়ালীদি গেছে বন্ধুর বিয়েতে।                                      মা বাবা দাদাকে ছেড়ে এত দূরে থাকার কষ্টটা অনেকটা ভুলে থাকি রুমমেট দের উপস্থিতির দরুন।্দম বন্ধ করা একাকিত্বটা ইিত পূবে কখনো ঘিরে ধরেনি।কিন্তু আজ…………।                                                                   টিক্ টিক্ টিক……….বুকটা ধড়াস করে উঠল।আজ রুম টাকে অন্ধকার এর চাদরে মোড়ার সাহস পায়নি।তাই টিউব লাইটটার সাদা আলোতে দেখতে পেলাম দুটো টিকটিকি ছোটাছুটি করছে।ছোট থেকে গ্রামে মানুষ হলেও টিকটিকিতে যে আমার বড্ড ভয়।আছা ওরা কি জানে আজ আমি একা।মশারি থেকে  হাত বাড়ালাম জল এর বোতল টার দিকে।                                                                     রাত সোয়াা বার টা।আজ কি রাত টা খুব বড়………মাথায় এক রাস চিন্তা র ঝুড়ি।দেওয়াল এর গা ঘেষা জানালা গুলো যেনো হটাৎ বড্ড বড় লাগলো।গুটিগুটি পায়ে নেমে জানালার কাছে গেলাম।নাহ্্ চিন্তা্র কোনো কারন নেই।জানালা গুলো বেস ভাল করেই বন্ধ করা।আহ্ কুকুর গুলো কী রাতে ঘুমোতেও সেখেনি।এত হাক ডাক কিসের বাপু।অবচেতন মন থেকে বার হয়ে এলো ভয় ও বিরকতির দীঘহাস্বাস।                                                                 কোনো দিন মনে না পড়া দিম্মা র কথা গুলো কানের কাছে বাজতে থাকলো্ল’জানিস পিউ তেনারা যেখানে সেখানে যেতে পারে’।শোঁশোঁ[কেপে উপরে তাকালাম]………আরে দূর এতো পাখার আওয়াজ।আমি আধুনিকা কিন্তু কখন কখন যুক্তি তক্ক হা্র মানতে বাধ্য হয়।                                                       এবার চোখ পড়ল সফ্টির দিকে।মনে পড়ল মার কথা গুলো।‘আরে তুই কী হোস্টেল এও ওকে নিয়ে যাবি নাকি।ওতো ময়লা হয়ে যাবে………’মার এই কখার তৎক্ষনাৎ প্রতিবাদী হই।‘আরে ওই তো আমার সঙ্গী।আর চিন্তা কর না ওকে আমি মাঝে মাঝে চান করিয়ে দেব।                                                                       কিন্তু আজ ও বড্ড নকল লাগলো।যেন তুলো দিয়ে গড়া পুতুল মাএ।                                    একবার ফোন টার দিকে তাকালাম।রাত তিনটে।এখন কোনো বন্ধুকে fb বা whatsapp না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।দেবুকে কল করতে গিয়েও থেমে গেলাম।ও হয়ত গভীর ঘুমে সলমানকে দেখতে ব্যস্ত।ঘুম ভাঙালে পরের দিন আমার কপালে দঃখ থাকবে ভেবে থেমে গেলাম।                                                রাতের শেষ প্রহর।দুচোখ আছন্ন।না এই নিসঙ্গ রাএি আর বিনিদ্রিত রইল না।মশার ভন ভন  র আলো আমাকে জাগিয়ে রাখতে পারল না।ঘুমিয়ে পরলাম।আর পোঁছে গেলাম বহু পরিচিত ঠিকানায়……।এই তো বাবা,জেঠু্   ,দাদা‌ থাম বলছি  মা ও মা…